পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা ও ডকুমেন্টারী প্রদর্শনীর মাধ্যমে নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ-২০২১ উদ্যাপিত হয়। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের অনুষ্ঠানমালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী।
সকাল ১১ঃ০০ঘটিকায় তেলিহাওরস্থ ক্যাম্পাসে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। পরবর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনাফারেন্স হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীম আল আজিজ লেলিনের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এপ্লায়েড সোসিওলোজি ও সোস্যাল ওয়ার্ক বিভাগের প্রফেসর মোঃ তানভীর আহমেদ চৌধুরী, উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস এবং প্রধান অতিথি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী।
প্রফেসর মোঃ তানভীর আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন বাঙালী জাতির স্বাধীনতা অর্জনের সমস্ত দিক নির্দেশনা জাতির জনকের এই ১৯ মিনিটের বক্তব্যের মধ্যে নিহিত ছিল। উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস বলেন বঙ্গবন্ধুকে বিবিসি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালী হিসেবে যে ঘোষণা দিয়েছে তার মূলে রয়েছে বাংলার ও বাঙালীর প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা ও আন্তরিকতা। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালী জাতিকে যে ভাবে উজ্জীবিত করেছে, অনুপ্রেরণা দিয়েছে ইতহাসে তা খুবই বিরল সে জন্য ইউনেস্কো তার বুক অব রেজিস্ট্রারে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ লিপিবদ্ধ করে রেখেছে। প্রধান অতিথি এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী ঐ সময়ে বঙ্গবন্ধুর সাথে তাঁর সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করে বলেন বঙ্গবন্ধু আজীবন মানুষকে ভালোবেসেছেন, তিনি গণমানুষের উন্নয়নে আজীবন সংগ্রাম ও ত্যাগ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো এদেশের মানুষের উন্নয়ন, তাঁর সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও সকল শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। অনুষ্ঠানের শেষাংশে জাতির জনকের উপর এক তথ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উক্ত অনুষ্ঠানমালা উপভোগ করেন।